রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

দৈনিক পত্রিকা এবং সাময়িকীর তালিকা

দৈনিক পত্রিকা এবং সাময়িকীর তালিকা

  • দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল
  • দৈনিক পল্লী অঞ্চল
  • দৈনিক শাহনামা
  • দৈনিক বাংলার বনে
  • দৈনিক আজকের বার্তা
  • দৈনিক আজকের পরিবর্তন
  • দৈনিক মতবাদ
  • দৈনিক সত্য সংবাদ
  • দৈনিক বরিশাল বার্তা
  • দৈনিক ভোরের অঙ্গিকার
  • দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন
  • দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ

  • ছবির মতো সুন্দর গুঠিয়া জামে মসজিদ

    গুঠিয়া জামে মসজিদ



    বরিশাল-বানারীপাড়া সড়ক ধরে এগোলেই উজিরপুর উপজেলা । সড়কের পাশে গুঠিয়ার চাংগুরিয়া গ্রাম। এ গ্রামেই আছে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ গুঠিয়া মসজিদ। ২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু চাংগুরিয়ার নিজ বাড়ির সামনে প্রায় ১৪ একর জমির উপর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ-ঈদগাহ্ কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম শুরু করেন। ৩ বছর মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্মান কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন এস. সরফুদ্দিনের ছোট ভাই মোঃ আমিনুল ইসলাম নিপু। তিনি ২০০৬ সালে উক্ত জামে মসজিদ- ঈদগাহ্ কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন। তার নির্মানাধীন সময়কালের মধ্যে তিনি একটি বৃহৎ মসজিদ-মিনার, ২০ হাজার অধিক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ঈদগাহ্ ময়দান, এতিমখানা, একটি ডাকবাংলো নির্মান, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, লেক-পুকুর খনন কাজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন-ফুল বাগান তৈরি ও লাইটিং ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন। ওই নির্মান কাজে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার নির্মান শ্রমিক কাজ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়। পরে গুঠিয়ার নামেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে। চাংগুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী এস সরফুদ্দিন আহমেদ এটির নির্মাণ ব্যয় বহন করেন। কমপ্লেক্সের মূল প্রবেশপথের ডানে বড় পুকুর। পুকুরের পশ্চিম দিকে মসজিদ। মসজিদ লাগোয়া মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ ফুট। আমার মনে হয় এটাই বাংলাদেশে সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ ।

    মসজিদে ঢোকার দৃষ্টি নন্দন প্রধান গেইট



    সামনে থেকে মসজিদ কমপ্লেক্স





    মসজিদের পশ্চিম পাশ, এখানে একটা হেলিপ্যাডও নির্মান করা হয়েছে ।



    বাগানের পাশ থেকে ছবি তুললে এমনি সুন্দর দেখায়










    পুকুর ও মসজিদের পূর্ব পাশে থেকে তোলা ছবি ।









    মসজিদের ভেতরে






    এতিমখানা
     
    সুন্দর এই কৃর্তির প্রতি জানাই অকৃত্তিম শ্রধা ও ভালোবাসা

    শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

    চিত্তাকর্ষক স্থান

    চিত্তাকর্ষক স্থান

    (১)   এবাদুল্লাহ মসজিদ
    (২)   অশ্বিনীকুমার টাউনহল
    (৩)   দুর্গাসাগর দিঘী
    (৪)   মুকুন্দ দাসের কালিবাড়ী
    (৫)   বিবির পুকুর পাড়
    (৬)   গুঠিয়া মসজিদ
    (৭)   মাহিলারা মঠ
    (৮)   ৩০ গোডাউন
    (৯)   বিআইউটিএ এর মাঠ
    (১০) বেলস্ পার্ক
    (১১) পরেশ সাগর দীঘি
    (১২) অক্সফোর্ড মিশন

    শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

    বরিশাল জেলার ভৌগোলিক সীমারেখা

    বরিশাল জেলার ভৌগোলিক সীমারেখা, জনসংখ্যা ও ধর্ম

    ভৌগোলিক সীমারেখা

    বরিশাল জেলা ২১ ডিগ্রি থেকে ২৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রি থেকে ৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত।বরিশাল শহর এর আয়তন ১৯.৯৯ বগঁ/কিঃ।বিভাগের আওতায় আছে ৬টি জেলা, ৩৮টি থানা, ৩২৩টি ইউনিয়ন, ৩২৩৭টি গ্রাম, ১১টি পৌরসভা।

    জনসংখ্যা

    বরিশাল মেট্রোপলিটন শহরে বসবাসরত জনসংখ্যা ২১০,৩৭৪ জন। মহানগরীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনসংখ্যা ৩,৮৫৩,০৯৩ জন। মোট জনসংখ্যার ৫৩.২৮% পুরুষ এবং নারী ৪৬.৭২%।

    ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর উপর ভিত্তি করে মোট জনসংখ্যা এবং উপাসনালয় সংখ্যা

    • বরিশালের মোট জনসংখ্যার ৯০.৬৪% মুসলিম, ৮.৩৮% হিন্দু, খ্রিষ্টান ০.৯৮%
    • মসজিদ এর সংখ্যা ১৫০, চার্চ এর সংখ্যা ৫, মন্দিরের সংখ্যা ২০০-র উপর

    বরিশালের নামকরনের ইতিহাস

    নামকরণের ইতিহাস

    বরিশালের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক সূত্র থেকে জানা যায়, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো। আর এই বড় বড়  শাল গাছের কারণে (বড় + শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরন হয়েছে। অন্য এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবনের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবনের চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। অর্থাৎ বরি (বড়) + সল্ট (লবণ) = বরিসল্ট। আবার অনেকের ধারণা এখানকার লবণের দানাগুলো বড় বড় ছিল বলে 'বরিসল্ট' বলা হতো। পরবর্তিতে এ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে।

     

    সাধারন ইতিহাস

    
    বরিশাল সদরে অবস্হিত
    প্রাক্তন বাকেরগঞ্জ জেলা পূর্ব বাংলায় অবস্থিত ছিলো। যে চারটি কালেক্টরেট নিয়ে ঢাকা বিভাগ বা কমিশনারশিপ গঠিত এটি তারই একটি। গঙ্গা বা পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার সম্মিলিত জলরাশি বাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিত ব-দ্বীপের নিম্নভাগে এ জেলার অবস্থান, আর এটি ২১ ডিগ্রি থেকে ২৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রি থেকে ৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। সংক্ষেপে এর সীমারেখা হচ্ছে: উত্তরে ফরিদপুর, পশ্চিমে ফরিদপুর ও বালেশ্বর নদী ( এ নদী জেলাটিকে যশোর থেকে পৃথক করেছে), দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে মেঘনা ও তার মোহনা। উত্তর থেকে দক্ষিণে এ জেলার দৈর্ঘ্য হচ্ছে প্রায় ৮৫ মাইল আর দক্ষিণ শাহবাজপুর দ্বীপসহ এর প্রশস্ততা হচ্ছে প্রায় ৬০ মাইল। এর আয়তন হচ্ছে প্রায় ৪,৩০০ বর্গমাইল।


    বাকেরগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেসি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৯৭ সালের রেগুলেশন-৭ অনুযায়ী ওই সালেই সেটিকে জেলা করা হয়। তবে ১৮১৭ সাল পর্যন্ত এটি একটি কালেক্টরেটে পরিণত হতে পারেনি। বরিশাল হচ্ছে প্রধান শহর এবং সেখানেই রয়েছে আদালত ভবন। এটি কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এ জেলায় গ্রাম ও শহরের সংখ্যা ৩৩১২ টি হবে বলে মনে হয়। ভূমি রাজস্ব হচ্ছে প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার রুপি (১৩৭,০০০ পাউন্ড) এবং সব উৎস থেকে প্রাপ্ত মোট রাজস্বের পরিমাণ হচ্ছে ১৬ লাখ রুপি। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যয় তিন লাখেরও কম।

    বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

    বরিশাল সদর উপজেলার পটভূমি

    বরিশাল সদর উপজেলার পটভূমি

     

    বরিশাল সদর উপজেলা বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা । বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের ৫১ নং সাগরদী মৌজায় ১০.৬৭ একর জমির উপর অবস্থিত । যা ১৪/১৯৬৫-৬৬ নং এল.এ. কেইসের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত । এ উপজেলার উত্তরে বাবুগঞ্জ, মূলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ, পূর্বে মেহেন্দীগঞ্জ ও ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, দক্ষিণে বাকেরগঞ্জ ও ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলা এবং পশ্চিমে নলছিটি ও ঝালকাঠী সদর উপজেলা অবস্থিত । বরিশাল সদর উপজেলার আয়তন ২৫৬.৫১ বর্গ কিলোমিটার ( বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ড বাদে)। বরিশাল সদর উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন ,১৪২টি মৌজা ,২৪৭ টি গ্রাম ও ৩৯,৪২৭ টি খানা রয়েছে । মোট লোকসংখ্যা ২,০১,২৫৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০৩,৩৫০ জন এবং মহিলা ৯৭,৯০৫ জন । শিক্ষিতের হার ৬৪.৮০% । জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্র উপজেলাটি ১২৩-বরিশাল-৫ নির্বাচনী এলাকা নামে পরিচিত । এ উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানা জুড়ে তেঁতুলিয়া নদী, পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১২ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানায় কালিজিরা নদী এবং দক্ষিণ দিকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানা বরাবর চরামদ্দী ও নেহালগঞ্জ নদী রয়েছে । এ সমস্ত নদী সারা বছর নাব্য থাকে এবং বড় বড় নৌকা ও লঞ্চ চলাচল করে । সদর উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ নব গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সাথে দশটি ইউনিয়নের পাঁকা সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান । তবে, তিনটি ইউনিয়নের (সায়েস্তাবাদ, চরমোনাই ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ) সড়ক যোগাযোগের পরিবর্তে নদী পথে যোগাযোগ করা সহজ ।